ঢাকা ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে এক কক্ষে চলছে পাঠদান

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে এক কক্ষে চলছে পাঠদান

ভোলার লালমোহন পূর্ব চরউমেদ আহম্মাদিয়া দাখিল মাদরাসা জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে গাদা গাদি করে এক ক্লাস রুমে একাধিক শ্রেণির পাঠদান চলছে। এতে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

১৯৭৫ সালে উপজেলার রমাগঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠা করা হয় এ মাদরাসাটি। ১৯৮৪ সালে এমপিওভুক্ত হলেও ১৯৯৭ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই ভবনে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান এবং অফিসের কার্যক্রম চলছে। পাশে একটি টিনশেড ভবনে চালানো হতো ইবতেদায়ী শাখার প্রথম থেকে পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম। তবে গত ১০ বছর ধরে পাকা ভবনটিও একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদের ওপর থেকে পানি পড়ে ক্লাস ও অফিস রুমে। এজন্য পাকা ছাদের ওপর দেওয়া হয়েছে টিনের ছাউনি। তবুও মাদরাসাটির জরাজীর্ণ ও ভোগান্তি নিয়ে পাঠদান এবং অফিসের কার্যক্রম চলছে।

গত ৭ মাস আগে পাকা ভবনের পাশে থাকা টিনশেড ভবনটি আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। ঝড়ে টিনশেড ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জরাজীর্ণ পাকা ভবনের একটি ক্লাস রুমে ইবতেদায়ীর পাঁচটি শ্রেণি এবং অন্য দুটি ক্লাস রুমে ৬ষ্ঠ থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে চরম ভাবে বিঘ্ন হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। বর্তমানে মাদরাসাটিতে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৮০ জন শিক্ষার্থী এবং ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, আমাদের মাদরাসার মূল ভবনটিও জরাজীর্ণ। আকস্মিক ঝড়ে পাশের টিনশেড ভবনটি তছনছ হয়ে যায়। যার জন্য বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ পাকা ভবনটির একটি ক্লাস রুমে একাধিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে আমাদের ভীষণ বিপাকে পড়তে হয়। কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থী এক ক্লাস রুমে বসে গাদা গাদি ক্লাস করায় তারা সঠিকভাবে পড়া বুঝতে পারছে না। এতে শিক্ষা কার্যক্রম মারাÍকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে একটি ক্লাস রুমের মধ্যে একাধিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বসে পড়ালেখা করছি। এতে করে আমাদের শিক্ষকরা কী পড়াচ্ছেন তা ঠিকমতো বুঝতে পারছি না।

মাদরাসার সুপার মাওলানা মো.অলীউল্যাহ বলেন, নতুন ভবনের জন্য অনেক আগে আবেদন করা হয়েছে। আবেদন যেন সংশ্লিষ্ট দফতরে কেবল জমা পড়ে রয়েছে। ক্লাস রুমের সংকট থাকায় দুর্ভোগ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষের সংকট সমাধানের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মোহন মন্ডল বলেন, উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। ওই মাদরাসার ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুনরায় তালিকা পাঠানো হবে। দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ হলে আর এসম্যসা থাকবে না।

এক কক্ষে চলছে পাঠদান,জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে,ভোলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত