আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর ফয়সাল কবির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির। এর আগে, সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার বেচপাতা এলাকার আব্দুল মান্নাফের ছেলে মহিউদ্দিন মহির (৩০), বগুড়া জেলার ধনুট থানার সোনারগাঁও এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে শাহ আলম (২৬), আশুলিয়ার গাজিরচট আমবাগান এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাহুল (৩০) ও একই এলাকার আনা মিয়ার ছেলে হাবিব (৩৪)।
নিহত ফয়সাল কবির (৩২) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার ধর্মদি দক্ষিনপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচট এলাকার হেলাল খন্দকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি বেসরকারি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, গত ৩০ নভেম্বর আশুলিয়ার মধ্য গাজিরচট এলাকায় ফয়সাল কবির নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নৃসংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। হত্যার মোটিভ আয়ত্তে নিয়ে পুলিশ আসামীদেরকে সনাক্ত করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি ছুরি, ১টি চাপাতি ও ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফয়সাল কবিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদেরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) আব্দুল বারিক, এসআই সাখাওয়াত হোসেন, এসআই অলক কুমার দে সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।