ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর হক বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ না করায় প্রধান শিক্ষক নুরুল করিম ও সহকারি প্রধান শিক্ষক সালাহউদ্দিন মজুমদারকে মারধর করেছে স্থানীয় বখাটেরা। তবে তারা যুবদল-ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র ও একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় ৯৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ছাড়াও শিক্ষকদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ৫ বিষয়ে ফেল করা সহ ৬০ জন শিক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ করানো হয়। ৫ বিষয়ের বেশি ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করাতে কয়েকজনের একটি চক্র চাপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের উপর চড়াও হন ছুট্টু মিয়া, অপু, বাবু, রাজু সহ কয়েকজন। তারা ৭ জনকে ফরম ফিলাপ করানো নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল করিম ও সহকারি প্রধান শিক্ষক সালাহউদ্দিন মজুমদারকে চড়-থাপ্পর দেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গতকাল স্কুলে সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে এনামুল হক কালাম ছাড়াও জেলা যুবদল সভাপতি ও ধলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন জসিম, সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফকির আহমদ ফয়েজ, জামায়াতের ইউনিয়ন আমীর নুরুল করিম, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুন নবী, প্রধান শিক্ষক নুরুন নবীর ছোট ভাই শাহীন একাডেমীর শিক্ষক নুরুল করিম, হক বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অপূর্ব চন্দ্র বসাক, স্থানীয় সুলতান মাহমুদ টিপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সবাই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ছুট্টু মিয়া, অপু, বাবু ও রাজুকে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবেনা মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।