মায়ানমার সীমান্তে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী ও সাগরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া যেসব জেলেরা মাছ ধরতে যাবে তাদের সতর্কভাবে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার (৯ ও ১০ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাত ও বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফনদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন।
সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে নাফনদী ও সাগরের জেলেদের নৌযান নিয়ে চলাচলে সতর্কতা জারি করাসহ জেলেদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মায়ানমার জলসীমার দিকে না যাওয়ার জন্য টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদেরকেও বলা হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে, নাফনদী ও সীমান্ত এলাকা এ মুহূর্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে বিজিবির অনুরোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফনদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি আর বলেন সীমান্তে নিছিদ্র নিরাপত্তায় বিজিবি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জলে ও স্থলে টহল পরিচালনা করছে ও সোচ্চার রয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানেও রয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে মায়ানমারের জান্তার সঙ্গে লড়াইয়ের পর রোববার সকালে মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। সোমবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যেই বিজিবি সীমান্তে টহল জোরদারের খবর জানিয়েছে।