দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। প্রতিদিনই নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬ টায় ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন থেকে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা আরও কমবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর একটু আগেই শীত পড়া শুরু করে এ জেলায়। এরপর থেকে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আকাশে কুয়াশা রয়েছে ও নিম্নচাপের কারণে আকাশ মেঘলা। আগামীকালও এরকম থাকতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবার সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমবে।
তীব্র শীতের দর্শনা রামনগরের জহিরুল মিয়া বলেন, এই অগ্রহায়ণে এত শীত, তাহলে পৌষ ও মাঘ মাসে তীব্র শীত পড়বে। আমরা তো কোনো কাজ করতে পারব না। সংসার চালাব কীভাবে? এখনই চিন্তা হচ্ছে। নির্মান শ্রমিক নাজমুল হাসান বলেন, প্রচণ্ড শীতে কোনো কাজ করতে পাচ্ছি না। এরম শীত পড়তে থাকলে কাজহীন হয়ে পড়বো আমরা আবার এলাকায় কোনো জনপ্রতিনিধিও এখন নেই। খুব চিন্তায় আছি।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়, যা ছিল বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আর গত শীতে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।