তাড়াইলে মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

  রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা ক্ষেতের চেহারা দেখে আনন্দে মুখরিত কৃষক। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের দিকে তাকালে মনে হয় ফসলের মাঠ যেন সেজেছে হলুদের সাজে। মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ রাজার দেশে মৌমাছির মধু সংগ্রহের গুঞ্জনে মুখরিত ফসলের মাঠ। সরিষার ফুলে বাতাসের দোলায় দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষ হয়েছে ১ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে অল্প সময়ে একই জমিতে দুটি ফসলের চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। একসময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখতো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অন্যতম একটি তেল ও মসলা জাতীয় খাদ্য শষ্যের নাম সরিষা। সরিষা খুবই লাভজনক ফসল। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুঁজিতে কৃষকরা লাভবান হন। 

উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, সরিষা আবাদে সেচের প্রয়োজন না হওয়ায় কম সময়ে আবাদ করা যায়। অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সঠিকভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করছেন। ফলন ভালো হবে আশা করছি। উপজেলার কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা টরি ৭, বারি সরিষা ১৪, ১৭, বিনা ৯, ১১, ১৮ আবাদ করেছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় আলোকিত বাংলাদেশ'কে বলেন, সরিষা মূলত একটি তেল জাতীয় ফসল। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে আমি এবং আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এবার এই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে।