পাবনার সাঁথিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জুলকারনাইনের লাশ উক্তোলন করা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলাধীন নন্দনপুর স্বরুপে পারবারিক কবরস্থান থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া জুলকারনাইনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হলে আশুলিয়া থানায় মামলা হত্যা মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তের জন্য শহীদ জুলকারের লাশ উত্তলণ করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
লাশ উত্তোলণের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিআইডি কর্মকর্তা, সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ স্থানীয় উৎসুখ জনতা ও জুলকার নাইনের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সিআইডি কর্মকর্তা জানিয়েছেন ময়না তদন্ত শেষে লাশ ওখানেই ফের কবর দেয়া হবে বরে জানান শহীদ জুলকার নাইনের স্বজনেরা।
উল্লেখ্য-জুলকারনাইন সাভারের পলাশবাড়ি জে.এল মডেল স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের খবরে গত সোমবার সাভার আশুলিয়া থানার বাইপাইল পলাশবাড়ীতে মিছিলে যোগ দেন জুলকারনাইন। বিকেল ৫টার দিকে জুলকারের বন্ধুরা তার বাবার মোবাইল ফোনে জানায় তাঁর ছেলের গলায় গুলি লেগেছে, তাঁকে দ্রæত এনাম হাসপাতালে আসতে বলে তারা। আব্দুল হাই হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। ওইদিন রাতেই তার মরদেহ সাঁথিয়ায় নিজ বাড়িতে আনা হয়।
গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সাঁথিয়ার স্বরপ গ্রামে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।