দেবহাটায় সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

দেবহাটা উপজেলার বিস্তর মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে। সরিষার আবাদ ভালো হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও চাষীরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর সরিষার আবাদ কম করতে পেরেছেন চাষীরা। 

কারন সরিষার আবাদের সময় কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি ছিল। তবুও অনেক স্থানে ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়।

 ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরতাজা সবুজ সরিষা গাছগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠায় কৃষককের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে চাষাবাদের পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা না পড়ায় সরিষা চাষের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। 

দেবহাটা  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শওকত ওসমান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে কৃষকদের সরিষার বীজ ও সার দেওয়ায় সরিষার আবাদ বেড়েছে বলে তিনি জানান। 

তবে  তিনি আরো বলেন, সময়মত মাটিতে জোঁ না আসায় সরিষার আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। উপকূলের লবনাক্ত এলাকা চাষাবাদ অনেকটা প্রকৃতি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। সেজন্য অন্য এলাকায় আগাম মাটিতে জোঁ আসলেও উপকূল এলাকার নিচু মাটিতে জোঁ আসতে দেরি হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সরিষার চাষের উপযোগী কুলিয়া, পারুলিয়া, সখিপুর নওয়াপাড়া ও দেবহাটা এলাকার বিস্তর জমিতে সরিষার আবাদ হয়।

 কৃষকরা বারি সরিষা ১৪, ১৮ বিনা-৯ ও স্থানীয় জাতের সরিষার আবাদ করেছে বলে কৃষিবীদ শওকত ওসমান জানিয়েছেন। উপকূলীয় উর্বর জমিতে এ বছর আশানারুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। কৃষক মোবারক আলী বলেন, বিলের অনেক জমি নীচু আছে সেজন্য বৃষ্টির পানির জন্য অনেক কৃষক এবছর সরিষার আবাদ করতে পারেননি। তবুও যারা করেছে তাদের ফলন ভাল হবে বলে আশা করা যায়। উপজেলার কাজীমহল্লা, মাঘরী, কামটা, পারুলিয়া, দেবহাটা, কুলিয়া ও কোড়া গ্রামের সরিষা চাষীরা জানান, তাদের ক্ষেতের আবাদকৃত সরিষা ভালো হয়েছে। 

দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এবছর ধান কাটতে দেরি হওয়ায় সরিষার আবাদ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কৃষকরা যদি আগাম জাতের ধান চাষ করে তাহলে ধান কাঁটার পর সময়মত সরিষা চাষের জন্য পূরো সময় পাবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তারা জানান।