ফেসবুকে ১২ দিনের পরিচয়ে প্রেম, অতঃপর গণধর্ষণের স্বীকার

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১২ দিনের পরিচয়। ৪ দিনেই প্রেম। প্রেমিকের ডাকে সারা দিয়ে পার্কে দেখা করতে গিয়ে নবম শ্রেণী এক ছাত্রী (১৭) গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।ওই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাবুর ছেলে মোঃ সোহান (১৬), দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সালমান মাহিন (১৬) ও একই ইউনিয়নের কামালদিয়াকান্দি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ সজিব অমিত (১৯)। অপর আসামি বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের আলেকের ছেলে রাশেদ (২০) পলাতক রয়েছে।

ওই ছাত্রীর পরিবার ও থানা সুত্রে জানাগেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ছাত্রীর সাথে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাবুর ছেলে মোঃ সোহানের পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্রধরে ঘটনার চার দিন পূর্বে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সোহান ওই ছাত্রীকে দেখা করতে বলে। মেয়েটি তার প্রেমিকের কথা রক্ষা করতে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়া পার্কে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটির সাথে দেখা ও কথা হয় সোহানের। এক পর্যায়ে সোহান তার অপর তিন সহযোগিকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা একটি বাড়ীতে নিয়ে ওই মেয়েকে আটকে রাখে। সেখানে পর্যায়ক্রমে তারা সকলেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। দিনভর মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে সোহান মেয়েটিকে জেলা শহরের বড়পুল এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর মেয়েটি বাড়ীতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। পরে থানায় মামলা দায়ের করেন।

রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই গণধর্ষণের স্বীকার মেয়েটির জবানবন্দিতে রাজবাড়ী আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সাথে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকেই রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামী রাশেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।