মেহেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইয়েরা বোন তাসলিমা খাতুনকে (৫০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহষ্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে চাঁদবিল গ্রামের একটি বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড বাগানপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি চাঁদবিলে এসে মাঝে মাঝে বসবাস করতেন।
নিহত তাসলিমার স্বামী আব্দুল হান্নানের অভিযোগ, পিতা মাতার সম্পত্তির ১২ বিঘা জমির মধ্যে সাড়ে ১০ কাঠা জমি মুখে মুখে তার স্ত্রীকে দিলেও রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়নি। তার পিতার অবশিষ্ট জমির প্রাপ্য ভাগ চাওয়ায় তাসলিমার ভাই আব্দুল বারেক, মন্টু আলী, লাল্টু হোসেন, আব্দুল হক, কান্টু হোসেন মিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। নিহতের ছেলে রনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে তার কয়েক মামার সাথে বিবাদ চলে আসছিলো। জমির বিষয় নিয়েই মা তাছলিমা তার বাবার বাড়িতে এসেছিলেন। এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড বলে জানান তিনি। তিনি দ্রুত এর সাথে জড়িতদের আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। প্রতিবেশী আলেয়া খাতুন জানান, তাসলিমা খাতুনের স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও বছর তিনেক আগে থেকে তার বাবা মৃত বরকত আলীর জমিতে চাঁদবিলে এসে মাঝে মাঝে বসবাস করতেন। পিতার জমির ভাগ নিতেই তিনি এখানে থাকতেন। আবার চুয়াডাঙ্গাতেও যেতেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবা উদ্দীন জানান, তাছলিমা গেল দুই দিন আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে চাঁদবিল গ্রামে তার বাবার বাড়িতে আসেন। বুধবার দুপুর থেকে তার আর সন্ধান মেলেনি। সন্ধান না পেয়ে নিহতের ছেলে রনি মেহেরপুর সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন বিলের একটি কচুরিপানার মাঝখানে কিছু একটা দেখতে পান। পরে তারা তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সদর থানার একটি দল। কচুরিপানা সরিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এদিকে তাসলিমা খাতুনের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পরপরই তার ভাইদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।