সম্পূর্ণ নতুন (পেকিন) জাতের হাঁস পালন করে স্বল্প সময়ে বেশী লাভবান হচ্ছেন খামারীরা। মাত্র ৪৫ দিনে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন খামারিরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পাবনার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর ডিগ্রিপাড়া গ্রামের খামারি ফারহানা আক্তার ছবি কৃষিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরীর পেছনে না ঘুরে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
তাদের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নতুন জাতের সুস্বাদু ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালন শুরু করেন তিনি। প্রথমে তিনি ১৯ হাজার টাকা দিয়ে ২’শ পেকিন জাতের হাঁসের বাচ্চা তোলেন তার খামারে। এক একটি বাচ্চা কিনেন ৯৫ টাকা দিয়ে। মাত্র ৪৫ দিনে তার খাদ্য, ঔষুধসহ খামারের সকল খরচ হয় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এখন তার খামারের প্রতিটা হাঁসেরও জন ৩ থেকে ৪ কেজি।
বাজারে প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকায়। বর্তমান বাজার দরে তিনি এই হাঁস বিক্রি করছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাতে তার লাভ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে (৪৫ দিনে) এত পরিমান লাভ হওয়ায় তিনি খুব খুশি। তার দেখা দেখি আশেপাশের অনেকেই এই জাতের হাঁস পালনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে জানান তিনি।
খামারী ফারহানা আক্তার ছবি আরো জানান, বেকার হয়ে বসে না থেকে তার মত হাঁস পালন করলেও বেশ লাভবান হওয়া যায়। মাত্র ৪৫ দিনে ৬০/৭০ হাজার টাকা বাড়িতে বসে ইনকাম করা কম নয়। তিনি খুবই খুশি। তিনি বেকার যুবকদের নিজস্ব খামার তৈরি করে কাজ করার পরামর্শ দেন।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পাবনা জেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মাইদুল ইসলাম জানান, নতুন জাতের সুস্বাদু ও মাংস উৎপাদনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালন খুবই লাভ জনক। মাত্র ৪৫ দিনে ৭০ হাজার আয় যায়। এই জাতের হাঁস পালন করে অনেকেই সমাজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি বেকার যুবকদের সময় নষ্ট না করে উদোক্তা হওয়ার আহবান জানান।