চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে জটিলতা। এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ সম্পন্ন করতে জিইসি মোড় থেকে ওঠার র্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
চসিক মেয়র ও নগরবিদদের আপত্তির মুখে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট বাড়বে, এমন ধারণায় গেল অক্টোবরে ১৫টি র্যাম্পের ছয়টি বাদ দেয় সিডিএ। বাকি নয়টি র্যাম্প নির্মাণের কাজ চললেও নগর পরিকল্পনাবিদরা ব্যস্ততম জিইসি জংশন থেকে ওঠার র্যাম্পটি নিয়ে আপত্তি তোলে।
নগরবিদরা মূল সড়কের প্রশস্ততা কমে যাওয়া ও যানজটের যুক্তি দিলেও, সিডিএর দাবি, এই র্যাম্প করা না হলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। সিডিএর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নয়টা র্যাম্প হয়েছে। টাইগার পাসের র্যাম্পটা কিন্তু এরইমধ্যে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি জিইসি র্যাম্পটাও বাদ দেওয়া হয় তাহলে মানুষ এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে কীভাবে। মানুষ এখন উঠছে মুরাদপুর বা ২ নম্বর গেট থেকে। তাহলে তো শহরটাকে কানেক্টিভিটির মধ্যে আনতে পারলাম না।
নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল এক্সপ্রেসওয়েতে গত আগস্টে যান চলাচল শুরু হয়। তবে লালখান বাজার ও টাইগারপাস অংশে ওঠার র্যাম্প না থাকায় পতেঙ্গা যেতে ভোগান্তি হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, সারা চট্টগ্রামের লোক ঘুরে ফিরে জিইসির দিকে তারা আসতে চায়। কাজেই এতে যানজট আরও বাড়তে থাকবে। আমরা কোনোভাবে এটা হতে দেব না।
সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, পূর্ব দিকের গাড়ি সবগুলো যদি জিইসির মোড় দিয়ে উঠতে হয় তাহলে ওদেরকে ৫ কিলোমিটার ঘুরতে হবে। জনসাধারণকে এই দুর্ভোগ দেওয়ার অধিকার তো তাদের নাই। তবে লালখান বাজার ও টাইগারপাসে র্যাম্প করার সুযোগ নেই বলছে নির্মাণকারী সংস্থা সিডিএ।
এ বিষয়ে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, বিশেষজ্ঞ যারা প্রতিবাদ করছেন জিইসি র্যাম্প নিয়ে তারা কিন্তু বিভ্রান্ত করছে। কারণ তারা মনে করছে টাইগার পাসেরটা আমরা করব। টাইগার পাসেরটা দিয়ে জিইসি র্যাম্প করে জিইসি তারা বন্ধ করতে চাইছে। জিইসি র্যাম্প বন্ধ করলে মানুষ কোনো দিক দিয়ে উঠবে কারণ টাইগার পাসের র্যাম্প হচ্ছে না। চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।