সিরাজগঞ্জে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাসে গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪’শ ৩৩ মেট্রিক টন ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ধান ৩৩ টাকা কেজি ও চাল ৪৭ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ ধান চাল ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে এবং আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী এ ক্রয় অভিযান শেষ হবে।
তবে প্রায় ১ মাসেও জেলার ৯টি খাদ্য গুদামে একমুঠো ধানও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি এবং চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে জেলার ৯টি গুদামে এ পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ১২১ মেট্রিক টন।
এ অভিযানে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি মূল্যর তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আক্ষেপ করে মিলাররা বলছেন, লাইসেন্স রক্ষায় খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি এবং ইতিমধ্যেই কিছু চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব কারণে খাদ্য গুদামে অনেক শ্রমিক এখন প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার ঘোষিত মূল্যর চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকেরা এখন গুদামে ধান বিক্রি করতে চাচ্ছে না এবং বেশিরভাগ কৃষকই বাজারে বেশি মূল্যর অপেক্ষা করছে।
এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুনর রশীদ আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, জেলায় এখন ৩৯১ টি চালকল রয়েছে। এসব চালকলের ২৮৫ জন চালকল মালিক চাল সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪ শতাংশ চাল সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া মেলেনি। তবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।