পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এই তাপমাত্রা ওঠানামায় জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগব্যাধি।
সকালে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, দিন-রাত দুই রকম তাপমাত্রা অনুভব করছেন তারা। সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতে হাড় কাঁপছে তাদের। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসছে এমন অনুভব করছেন তারা। এ রাতে একাধিক কম্বল লেপ নিলেও মনে হয় ঠান্ডা লাগে। বিছানা, ঘরের ফ্লোর, আসবাপত্র সবকিছুই বরফ হয়ে ওঠে। উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা-ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। দিনে রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা।
পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দিনে-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম হচ্ছে। দিনে গরম, রাতে প্রচুর ঠান্ডা। তাই পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে আবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। একদিনের ব্যবধানে গতকাল রোববার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার একদিন পরে আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সেই হিসেবে এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।