পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব ভুলে, পুরনো জীর্ণতা মুছে নূতন বছরকে বরণে প্রস্তুত বিশ^বাসী! আজ বছরের শেষ দিনে বর্ষবিদায়ে নানা আয়োজন করেছে মানুষ। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এর বেশ প্রভাব পড়েছে। বিস্তীর্ণ সমুদ্র তটে দাঁড়িয়ে শেষ সূর্যাস্ত দর্শনে মানুষের ঢল নামবে।
তবে এবারও কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে ‘ওপেন’ কোনো আয়োজন নেই। উন্মুক্ত স্থান কিংবা বাসার ছাদে কোনো আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন। তবুও থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বিপুল পর্যটক সমাগ হয়েছে পর্যটনের এই নগরে। বিপুল পর্যটক আগমণে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জেলা প্রশাসন ও পর্যটন সংশিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম হবে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত পাঁচলাখ পর্যটক সমাগম হবে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এই বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ অনুকূলে রয়েছে। তাই থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে রেকর্ড পর্যটক এসেছে। এতে সব হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজে শতভাগ বুকিং আছে। আরো অনেক পর্যটক কক্ষ চাইলেও দিতে পারছি না। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
জানা গেছে, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে উন্মুক্ত কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও সীমিত পরিসরে আয়োজন করছে তারকামানের হোটেল সায়মান বিচ, হোটেল ওশান প্যারাডাইস, হোটেল কক্স-টুডেসহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেল। হোটেলের ভেতরে থাকছে কনসার্টের আয়োজন। ইতিমধ্যে হোটেলগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। তবে সমুদ্র সৈকত ও হোটেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন পর্যটকসেবী সংগঠন পর্যটকদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকতের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষেধ। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একাধিক তারকা হোটেল নিজেদের ইনডোরে কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। আমরা সব বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের টহল আরও দুই গুণ করা হয়েছে। পাশপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবেন।