টঙ্গি ইজতেমার মাঠে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুদরত মুসল্লিদের উপর সাদপন্থীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা করে হত্যা ও লুটপাটের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আলেম-ওলামাগণ। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজিজুল্লাহ নওয়াব।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী জেলা শাখার আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা তাবলীগ মারকাজের আহলে সূরা মাওলানা গোলামুর রহমান, আহলে সূরা মাওলানা আব্দুল কাদের, আহলে সূরা আলহাজ্ব আব্দুল মমিন, হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী শাখার নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম, বেফাকুল মাদারিসিল বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা সিদ্দিক আহমদ নোমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নোয়াখালী উত্তর শাখার সভাপতি মুফতি মঈনুদ্দিন তৈয়বপুরী, ইসলামী আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিন সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেলা দক্ষিন সভাপতি মাওলানা সালাহ উদ্দিন, খেলাফত আন্দোলন নোয়াখালী সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসেন, খেলাফত মজলিস নোয়াখালী সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৭ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩ টার দিকে কয়েক হাজার সাদপন্থী সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুদ নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ জন তাবলীগের সাথী শহীদ হয়েছেন। ওইসময় শত শত তাবলীগের সাথী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার পর সাদপন্থী সন্ত্রাসীরা টঙ্গী ইজতেমা মাঠ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। সাদপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অধিকাংশই বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বাহিনীর সদস্য।
এর পূর্বে সাদপন্থী সন্ত্রাসীরা বিগত ২০১৮ সালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে দিবালোকে একজনকে হত্যা করে এবং ওই সময় সহস্রাধিক আলেম-ওলামা মাদ্রাসা ছাত্র ও নিরীহ তাবলীগের সাথীকে আহত করে। অনতিবিলম্বে এ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। একই সাথে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান সরকার ও প্রশাসনের নিকট। সমাবেশ শেষে জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিভি প্রদান করেন আলেমগণ।