শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সেই সাথে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এক ঝলক সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা গতকাল ছিল ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
উপজেলায় কনেকনে ঠান্ডায় শীতে কষ্ট পাচ্ছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষরা। জরুরী প্রয়াজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। দিনের বেলায় হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে সমগ্র উপজেলা।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুপুরে এক নজর সূর্যের দেখা গেলেও সূর্যের আলো না থাকায় খুব ঠান্ডা। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, খুব কষ্টে আছি আমরা।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান “যমুনা গ্রুপ” প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের নামে প্রতিষ্ঠিত বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন উপজেলার দাসিয়ারছড়ায় সহস্রাধিক পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন শীতার্ত মানুষের নিকট দুই দফায় দুই হাজার ১৯০টি কম্বল বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম।
এদিকে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।