উত্তরের শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশা কাহিল হয়ে পড়ছে প্রকৃতি। সাতক্ষীরায় বৃষ্টির ফোটার মত টিপটিপ করে ঝরে পড়ছে ঘন কুয়াশা। শৈত্য প্রবাহে শ্রমজীবী মানুষ শীতকে উপেক্ষা করে বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে।
জেলার বিভিন্ন সড়কে কুয়াশায় হেড লাইট জালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সাধারণ ছিন্নমূল মানুষকে কাহিল করে ফেলছে।
আজ সকালে সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের আকাশ ছিল কুয়াশার দখলে। সেই সাথে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে শুক্রবার জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে বিকাল সাড়ে তিনটায়।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকতে পারে।
এদিকে, জেলার হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন কোল্ডডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে তালা উপজেলার মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, তার শিশুপুত্র গত দুই দিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তার ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে এসেছি, এখন অনেক ভাল।
এদিকে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। তিনি আরও জানান, আজ শনিবার সকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কুয়াশা পুরোপুরি কাটতে আগামী আরও কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকতে পারে।