চকরিয়ায় কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০০ | অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে এক কিশোরীকে (১৫) অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন পরিবারের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও গণমাধ্যম) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বদরখালী স্টেশনে পৌঁছে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠলে চালক মাঝপথে ইঞ্জিন নষ্টের কথা জানায়। পরে সেতুর পূর্বাংশে হেঁটে যাওয়ার সময় এক যুবক তার পথ আটকায় এবং ছুরির ভয় দেখিয়ে পাশের প্যারাবনে নিয়ে যায়। প্রথমে দুই যুবক কিশোরীর ওপর নির্যাতন চালায়। পরে আরও দুইজন ও পরবর্তীতে আরও চারজন এসে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী জ্ঞান হারায়।

সড়কে চলাচলরত পথচারী ও গাড়ি চালকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেও কেউ সাড়া দেয়নি জানিয়ে ভুক্তভোগী এ কিশোরী বলেছেন,  ঘটনার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। 

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, “ কিশোরীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী কিশোরী পরিবারের হেফাজতে রয়েছে। 

ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কারও লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করবে বলে জানান তিনি।