পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার আরামকাঠি-শান্তিরহাট সড়কের এক কিলোমিটার পুনঃনির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কয়েকবার বাধার মুখে ফিরিয়ে নিলেও কাজ বন্ধ হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইশতিয়াক কনস্ট্রাকশন নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণকাজ চালাচ্ছে। কাজের তদারকিতে থাকা উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দক্ষিণ জগন্নাথকাঠি (আমিরহাজী বাড়ী) থেকে শান্তিরহাট বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার মেইনটেনিংস পিচ ঢালাইয়ের কাজ পায় মেসার্স ইশিতায়ক কনস্ট্রাকশন। যে কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। রাস্তার কাজে ভাল মানের ইট দিয়ে ২ ইঞ্চি খোয়ার পুরুত্ব সহ পিচ ঢালাইয়ের কথা রয়েছে। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই রকম না করে রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার সহ সর্বত্র ২ ইঞ্চি খোয়া দেননি। রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করার কারণে স্থানীয়দের বাধায় কাজ বন্ধ থাকে কয়েকদিন। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করে সেই খোয়ার উপর বালু বিছিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করার পাঁয়তারা চলছে। স্থানীয়রা ভাল মানের উপকরণ দিয়ে অতিদ্রুত রাস্তার কাজ বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, "রাস্তায় অত্যন্ত বাজে মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাস্তা খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। বর্ষায় পিচ ঢালাই সহজেই ধুয়ে যাবে।"
অটোচালক মো. জিহাদ বলেন, "দীর্ঘদিন পর রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রোলারের চাপে সব ইট পাউডার হয়ে গেছে। এভাবে কাজ হলে কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।"
উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, রাস্তায় প্রথমে খারাপ খোয়া ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন ভাল খোয়া আনা হয়েছে। রাস্তার কাজ ভাল হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। আপনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার স্যারকে জিজ্ঞাসা করুন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম জানান, কাজের শুরুতে একটু খারাপ ইটের খোয়া ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন ভাল ইটের খোয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা পুনরায় মাঠে গিয়ে তদন্ত করব।