পাবনায় জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সরকারী হাসপাতালগুলোতে তিন মাস ধরে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা। প্রতিদিন হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে বেশি দামে বাইরের দোকান থেকে বেশী দামে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদাপত্র পাঠালেও সরবরাহ পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন শেষ হয়েছে। তার আগেই ৬ জুলাই প্রথম দফায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদা পত্র পাঠানো হয়। কিন্তু ভ্যাকসিন আসেনি। এরপর গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। গত তিন মাস পার হলেও এখনও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় দু’জন রোগীর স্বজনদের সাথে।
আব্দুল হামিদ নামের এক অভিভাবক বলেন, এত বড় একটা হাসপাতাল, অথচ জলাতঙ্কের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। জানতে পারলাম তিন মাস ধরে ভ্যাকসিন নেই। আমরা গরীব মানুষ তাহলে কোথায় যাবো। মনিরুল ইসলাম নামের এক রোগী বলেন, আমরা গরীব মানুষ, হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন পেলাম না। বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে দেওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা হাসপাতালে না পেয়ে পাবনা সদরে আসছি। এখানেও পেলাম না। বাধ্য হয়ে টাকা ধার করে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কিন্তু এভাবে তো একটা হাসপাতাল চলতে পারে না। তিনি দ্রুত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার দাবি জানান।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, গত তিন মাস ধরে হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি। যেকারণে রোগীদের দিতে পারছি না। তিনি আরও জানান, পাবনায় গড়ে প্রতিমাসে ৭শ’ থেকে ৮শ’ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয়। সর্বশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর’২৪ তারিখে ১০ হাজার র্যাবিক্স ভিসি ও ২ হাজার র্যাবিক্স আইজি’র চাহিদা পাঠিয়েছি। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তার ঠিক নাই।