রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গড়াই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীপাড়ের বসতবাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, বালু স্তূপ করে রাখার কারণে আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যায় ভুগছে।
নারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, গত দুই মাস ধরে নারুয়া ঘাট, মদনডাঙ্গী এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন ৮-১০ হাজার ফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় হুসাইন শেখের নেতৃত্বে এ কাজ চলছে বলে অভিযোগ। এতে আশপাশের এলাকায় নদী ভাঙন বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা গরিব মানুষ, ঘর ছাড়া আর কোনো জমি নেই। বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন বাড়বে, এবং আমাদের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে। বালুর ধুলো-ভোগান্তি আমাদের জীবনযাত্রা কঠিন করে তুলছে।"
সরেজমিনে মদনডাঙ্গী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে।
এসময় কথা হয় ড্রেজার চালকের সাথে তিনি জানান, আমরা বললে বালু তুলি, আবার কেউ আসলে কাজ বন্ধ করি। বন্ধ করলে চলে যাবো।
বালু উত্তোলনকারী হুসাইন শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নারুয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জিহাদ জানান, এখানে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি জেনেছি। এটি পুরোপুরি অবৈধ।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলিত হচ্ছে। অনুমতি ছাড়াই এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামবাসী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন এবং নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে আছেন। সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।