ঢাকা ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে মিলনমেলার আড়ালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা, নাশকতার আশংকা 

কক্সবাজারে মিলনমেলার আড়ালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা, নাশকতার আশংকা 

কক্সবাজারে মিলনমেলার আড়ালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা জড়ো হওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের আলোচিত হোটেল গ্রীন নেচার রিসোটটিতে ৮৮ জনের নামে বুকিং দিয়েছে বলে সূতে জানা গেছে। এর মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার ও ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা রয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেছেন। ওই রিসোর্টটি গেল ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এমপি এসএম আল মামুনের মালিকানাধীন। হঠাৎ করে এধরণের মিলনমেলার নামে গোপন সভার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আলোচিত ওই রিসোর্টে কয়েকদিন আগেও নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালর্য়ে ২৫ তম ব্যাচের নাম দিয়ে চিহ্নিত ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আগামী ১০ জানুয়ারি ওই রিসোর্টে জড়ো হওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। ওইদিন শেখ মুজিবুরের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসও। এই ধরণের কর্মসূচির খবর জানাজানি হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালর্য়ে ২৫ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তারা জানান, হঠাৎ করে এধরণের প্রোগ্রাম আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার ফজলুল হক টিপু, জহির উদ্দিন শামীম, এনামুল হক দিপু, আকরাম খান, শেখ কুতুবউদ্দিন, আশরাফ হোসেন, মহসিন সরকার, সাইফুল্লাহ শাহ, আবদুল কালাম আজাদ, লিটন পাল, সঞ্জয় কুমার সরকার ও মো. মোস্তাকিম। এরা পতিত হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী হিসাবে চিহ্নিত। বর্তমানে এরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৫ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী মাসে ২৫ তম ব্যাচের বিশাল ‘ফ্যামিলি গেটটুগেদার’ রয়েছে। এর আগে ভর পর্যটন মৌসুমে এধরণের আয়েজন বিশেষ একটি দলের ক্যাডারদের জড়ো হওয়া বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নয়।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাতে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের আলোচিত হোটেল গ্রীন নেচার রিসোর্টের রিসিভশনের নাম্বারে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, এধরণের আয়োজনের কথা শুনেছি। অনুমতি ছাড়া যে কোন ধরণের প্রোগাম করলে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে শেষ মুহুর্তে তারা কর্মসূচি বাতিল করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজ বুধবার পর্যন্ত বিষয়টি অবগত নন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া কেউ শান্ত কক্সবাজারকে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান।

ছাত্রলীগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত