পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- দৈনিক খবরপত্রের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম বাবলু (৪২), পূর্ব দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাকিলা জাহান তানজিলা (৩৫), মধ্য কর্পূরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস টুলি (৩৮), মোসা. ঝুমুর আক্তার (৩০), ও সাইদুর রহমান সোহেল (৩৫)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তানজিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সাংবাদিক এইচ এম বাবলু জানান, দাশপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক ওরফে সোনা গাজীর ছেলে মো. শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে ৩০-৪০জন এ হামলা চালায়। তিনি বলেন, ৬৩৪ খতিয়ানের একাধিক দাগে পৈত্রিক সূত্রে আমরা ২একর ৪৯ শতক জমির মালিক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শাহ আলম গাজী, তার ভাই মনির গাজী ও চাচাতো ভাই মশিউর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখল করে জোরপূর্বক ভোগ করেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর আমাদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহায়তা চাই। থানার ওসি একাধিক বার সালিশ মীমাংসা চেষ্টা করলেও শাহ আলম গাজীরা জামায়াতের প্রভাব খাটিয়ে সালিশি প্রত্যাখান করে জোর করে জমি দখলে রাখেন। ঘটনার দিন আমরা জমির কাছে গেলে শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে তার ভাই মনির ও মশিউর সহ ৩০-৪০জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমি, আমার বোন, ভাবী সহ ৫জন আহত হই।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইজনকে আটক করেছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।