কাজী হেয়াত মামুদ ওয়াক্ফ এস্টেট: মোতাওয়াল্লি নিয়ে জটিলতা
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের পীরগঞ্জে অষ্টাদশ শতাব্দীর সাধক কবি কাজী হেয়াত মামুদের সমাধিস্থল ও সংশ্লিষ্ট ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনায় নতুন মোতাওয়াল্লি এজাহারুল হক দায়িত্ব পালন শুরু করলেও, তিনি দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ঝাড়বিশলা গ্রামের প্রয়াত নুরুল হক দীর্ঘদিন কাজী হেয়াত মামুদ ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর প্রায় এক দশক এই এস্টেট মোতাওয়াল্লী বিহীন অবস্থায় ছিল এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্দেশনায় এজাহারুল হককে ৩ বছরের জন্য মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়।
মোতাওয়াল্লী এজাহারুল হক দায়িত্ব গ্রহণের পর মাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দানবাক্স ও মাজার গৃহের চাবি চাইলে তারা তা হস্তান্তর করেনি। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি চাবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলামের জিম্মায় রাখেন।
চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জানান, “দানবাক্স এবং মাজার গৃহের জটিলতার কারণে এটি আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে।”
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সালেক সরকার বলেন, “বিজ্ঞ জজ আদালতের আদেশ অনুযায়ী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাজারের তদারকি ও ইছালে ছওয়ার পরিচালনা করে আসছে । অন্য দিকে মোতাওয়াল্লী দাবি করে কাজী শামসুুদ্দিন জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ হাইকোর্টে আপিল করেছেন। মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন ।"