ঢাকা ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুন: প্রধান আসামি শাহিনসহ গ্রেপ্তার ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুন: প্রধান আসামি শাহিনসহ গ্রেপ্তার ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে মাসুদ রানা ও রায়হান আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন রেজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত ফল কাটার ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। এসময় পুলিশ সুপার দাবি করেন- শাহীন একাই ফল কাটার ছুরি দিয়ে দুইজনকে হত্যা ও চারজনকে জখম করে। শাহীন আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি শাহিন রেজা বাহির মল্লিকপুরের তোফজুল হকের ছেলে। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার ৭ নম্বর আসামি আব্দুস সামাদ। তিনি বাহির মল্লিকপুরের আতাউর রহমানের ছেলে।

পুলিশ সুপার রেজাউল করীম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে প্রধান আসামি শাহিন রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার হন সামাদ আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন আকন্দ ও এসআই ফয়সাল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে শাহিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঘটনার দিন একটি অনুষ্ঠানে শাহিনের ভাতিজার সঙ্গে হতাহতদের তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে শাহিন ঘটনাস্থলে যায় এবং বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ফল কাটার একটি ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হন। তবে একজন ব্যক্তি সাধারণ একটি ছুরি দিয়ে কীভাবে দুইজনকে হত্যা ও চারজনকে জখম করলো এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখছি। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি যা বলেছেন আমরা আপাতত সেটাই আপনাদের জানালাম।

হতাহতের ঘটনাটিকে আবারও অরাজনৈতিক উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জানান, একটি পক্ষ এটিকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখায় সেটি ব্যর্থ হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি শাহীন শনিবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে ছুরিকাঘাতে মারা যান একই উপজেলার খোলসী গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে মাসুদ রানা ও চাঁদপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান আলী। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতদের ছাত্রলীগের নেতা দাবি করে রাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে দাবি করা হয়, জয় বাংলা স্লোগান লেখার কারণে হত্যা করা হয়েছে তাদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকগুলো ফটো কার্ড ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশব্যাপী আলোচিত হয় এ হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর মাসুদ রানার বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ,জোড়া খুন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত