ঢাকা ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসা করাতে এসে মারধরের শিকার রোগীর পরিবার

চিকিৎসা করাতে এসে মারধরের শিকার রোগীর পরিবার

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের স্ত্রী ছাহেরা বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যরা মারধরের শিকার হয়েছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত হন, মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুুর রহমানের স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৭৫), মেয়ে হাসিনা বেগম (৫৫) ও তার নাতি মোঃ আজমাইন সেখ (২৪)। গুরুতর অবস্থা হাসিনা বেগম হাসপাতালে চিচিৎসাধিন রয়েছেন।

জানা যায়, প্রেসক্রিপশনে নিয়ে ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থাকা অবস্থায় মারধর করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ফেলে চিকিৎসা পত্র নিয়ে চলে যায়। এসম হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রহারের দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।

রোগীর মেয়ে হাসিনা বেগম জানান, আমার মা ছাহেরা বেগম ৪ থেকে ৫ দিন আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। যন্ত্রণা বেশি ওয়ায় নাজিরপুর উপজেলা হাসাপাতালে পরিজনেরা তাকে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। প্রেসক্রিপশনে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারী বোরকা পরিহিত অবস্থায় ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র নিয়ে চলে যাওয়া চেষ্টা করলে এমতাবস্থায় বাধা দিলে আমাদের মারধর করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ফেলে চিকিৎসা পত্র নিয়ে দূবৃত্তরা চলে যায়। পরে পুনরায় এসে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে কিল, চড় লাথি মারতে শুরু করেন।

এঘটনায় পুলিশ ও নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রোগী প্রেসক্রিপশনে নিয়ে মারধরের ঘটনার এ অভিযোগের তীর উঠেছে স্থানীয় গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মীসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ আল ফরিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। ঘটনা যাচাইয়ের জন্য তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিং বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে দোষীকে আইনের আওতায় গ্রেফতার অভিযান চলবে।

রোগী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত