মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আমতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিআরএম চত্বরে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ রেলওয়ের ট্রেন চালক, গার্ড, ও টিটিইরা। দাবি মেনে না নেয়া হলে, ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় থাকা সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। পরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে রেল মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ঈশ্বরদী শাখার দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন, রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে-মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সকল অসম্মতি প্রত্যাহার এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক ১২ এবং ১৩ নং শর্ত বাতিল করে রেলওয়ে কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আদেশ জারীর দাবি জানান।
পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুণ্ডু জানান, রানিং স্টাফ কর্মচারীরা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) বরাবর তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি সেটা গ্রহণ করেছি। আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আশা করি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ১০৮টি ট্রেন চলাচল করে। তার মধ্যে আন্তঃনগর ৫৪টি, মেইল ৩৫টি লোকাল ১৯টি এবং মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। ২৮ তারিখ হতে কর্মবিরতি শুরু হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ব্যাপক শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।