করেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করেন্ট জাল উৎপাদন হচ্ছে নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জে অনেকগুলো কারখানা আছে। যেখানে জাল এবং আয়রন কারখানা। সেই কারেন্ট জালের জাল মেইড সাইজের হয় এই জাল সব মাছ ধরে ফেলে। আমরা এ তথ্য বিভিন্ন সময় পেয়েছি। অনেকগুলো কারখানায় বেশ কিছু অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অনেক জাল। আমাদের কাছে মনে হয়েছে শুধু মাত্র অভিযান চালানোর বিষয় না। আমরা যারা সংশ্লিষ্ট অংশীজন আছে এমনকি জাল ব্যবসায়ী, কারখানার মালিক তাদের সাথে কথা বলা দরকার।  

মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মৎস্য জাল উৎপাদনকারী ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

তিনি আরো বলেন, “কারেন্ট জাল সস্তা ও হালকা হওয়ার কারণে, পরিবহনের সুবিধা হওয়ায়  এবং দাম কম হওয়ার কারণে এটা জেলেরাও ব্যবহার করছে। এটা ক্ষতিকর এতে কোন সন্দেহ নাই। আমরা কারেন্ট জালের মেইড সাইজের ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরে যারা বিশেষজ্ঞ আছে তাদের সাথে কথা বলে নির্দিষ্ট  সাইজের কথা আমরা জানাবো। সুতার একটা ব্যাপার আছে সেটাও আমরা জানাবো।”

তিনি আরো বলেন, মোট কথা এটা একদিকে টেকনিক্যাল বেপার। এটা এমন না শুধু অভিযান চালালাম। মাছ তো ধরতেই হবে। সেই মাছ ধরার জন্য যেই জালগুলোও তৈরী করতে হবে। 

মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা  ফরিদা আখতার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়  স্থাপিত জুলাই স্মৃতি কর্নার সুতিকাগার’ নামের দুইটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।