রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়েসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়েসহ পৃথকভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একই এলাকার মৃত রশিদ আহম্মদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে সুবাইদা বিবি (১৮)।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) জানায়, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-৭৫ ব্লকে মা-মেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে নিখোঁজের নয়দিন পর টেকনাফের নয়াপাড়া মুছনী রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদ শরীফ (১৭) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ) বেলা ৩টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত মোহাম্মদ শরীফ ক্যাম্পের ব্লক বি এর বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) মো. সিরাজ আমিন জানান, ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলম ফজরের নামাজ আদায়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। এ সময় তারা পাশে তাদের মা ও বোনের কক্ষে বাল্ব জ্বালানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ওই কক্ষে উঁকি দিয়ে তাদের দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে শেডের পাশে একটি বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ জাগে। পরে পাশের আরেকটি বাথরুম থেকে উঁকি দিয়ে মা ও বোনকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোছাইন বলেন, ‘এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।’
স্বজনদের বরাত দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফে মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মুহাম্মদ শরীফ নয়দিন আগে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকে স্বজনেরা বিভিন্ন ভাবে খোঁজ করেও সন্ধান পাননি। হঠাৎ অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। কারো সঙ্গে শরীফের পূর্ব শত্রুতা ছিল বলে জানা নেই পরিবারের সদস্যদের।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা থানার ওসি।