ঢাকা ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ, নীরব প্রশাসন

দিনাজপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ, নীরব প্রশাসন

দিনাজপুরে কৃষি আইন লঙ্ঘন করে তিন ফসলি জমির উপরিভাগের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি হারানোর পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-এর ৫(১) ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, খানসামা ও আশপাশের এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের এক থেকে আড়াই ফুট গভীরতা পর্যন্ত মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় ২১৬টি ইটভাটা অবস্থিত। এসব ভাটায় প্রতি মৌসুমে গড়ে ২৫-৩০ লাখ ইট পোড়ানো হয়। প্রতিটি ভাটায় এক মৌসুমে প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট মাটি লাগে, যার অর্ধেকই আসে ফসলি জমি থেকে। ফলে পুরো জেলায় ইট তৈরির জন্য বছরে প্রায় ৪ কোটি ৩২ লাখ ঘনফুট মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এছাড়া, ইটভাটাগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়া ফসল নষ্ট করছে এবং পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। কিছু এলাকায় সরাসরি ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করায় সমস্যার মাত্রা আরও বেড়েছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, এসব জমিতে ধান, আলু ও ভুট্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ ফসল আবাদ হয়। উপরিভাগের পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটি কেটে নেওয়ায় জমি হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি, ফলে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মলিন মিয়া জানান, জেলার ১৩টি উপজেলায় কয়টি বৈধ ও কয়টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইটভাটায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইটভাটা,ফসলি জমি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত