ঢাকা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গর্তে আটকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

শিশু আরকান মা-বাবার বুকে ফিরলো মুক্তিপণে

শিশু আরকান মা-বাবার বুকে ফিরলো মুক্তিপণে

মুক্তিপণের বিনিময়ে মা-বাবার বুকে ফিরেছে অপহৃত শিশু মো. আরকান (৭)। গতকাল অপহরণকারীদের চাহিদা মতো মুক্তিপণ আদায়ের পর ঘরে ফিরেছে সে। যার কারণে আরকান পরিবারে অন্যরকম আনন্দ দেখা দিয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে দিকে বসতঘরের বাহিরে খেলার সময় তাকে অপহরণ করা হয়েছিলো। শিশু মো. আরকান উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৯, ব্লগ: সি-১৫ এর আব্দুর রহমানের ছেলে।

শিশুর পিতা আব্দুর রহমান জানান, গত বুধবার ৮ জানুয়ারি দুপুরের দিকে থাইংখালি ক্যাম্প ১৯ থেকে ভেতরে আমাদের থাকার বসতঘরের বাহিরে সে খেলা করছিলো। তখন তাকে ৩ জন ব্যক্তি নাস্তা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে সিএনজি-তে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই দিন থেকে ছেলেকে পাগলের মত সব জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছি। এর পরে কল করে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীরা আমার শিশু ছেলেকে মাটি খুড়ে গর্তের মধ্যে অর্ধেক ঢুকিয়ে রেখে ভিডিও করে তা আমাদের কাছে পাঠায়। তার ওপর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা তাদের দেওয়া নিদিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়। তারা টাকা পেলে পরে আমার ছেলেকে এক সপ্তাহ পরে কুতুপালং বাজারে রাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। সেখানে কিছু লোক তাকে বাজারে পেলে একরাত তাদের হেফাজতে রেখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তখন আমরা খবর পেয়ে গত বুধবার সকালে তাকে কুতুপালং থেকে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমার শিশু ছেলেকে গর্তের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে সেটি দেশবিদেশে তোলপাড় হয়। শতশত মানুষ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সবাই আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসাইন জানান, রোহিঙ্গা শিশুর অপহরণের বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। পরে শুনলাম শিশুটি ফিরে এসেছেন। তবে এই শিশুটির অপহরণের ঘটনার সম্পর্কে কোন অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা এই শিশু মো. আরকান অপহরণকারীদের কবলে পড়লে তারা শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য তাকে গর্ত খুড়ে মাটিতে অর্ধেক ঢুকিয়ে রেখে তার পিতার কাছ থেকে টাকা খুঁজতে বাধ্য করে। শিশুর সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।

শিশু আরকান,মুক্তিপণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত