দিনাজপুর সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহে অগ্রগতি থাকলেও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে সাতটিতে এখন পর্যন্ত ১,৪৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হলেও বাকি ছয় উপজেলায় এক ছটাকও ধান সংগ্রহ হয়নি।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭,৯৯১ মেট্রিক টন। কিন্তু ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সংগ্রহ অভিযানে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১,৪৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। অন্যদিকে, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮,৫০৪ মেট্রিক টন, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত আতপ ও সিদ্ধ মিলিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯,৮০০ মেট্রিক টন।
কৃষকরা জানান, বাজারে ধানের দাম সরকারি দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় তারা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। প্রতি কেজি ধানের জন্য সরকার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে এর মূল্য তুলনামূলক বেশি। এছাড়া সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের পর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত জটিলতায় পড়তে হয়, যা তাদের জন্য বড় বিড়ম্বনার কারণ।
দিনাজপুরের মিল মালিকদের মতে, চাল উৎপাদনের খরচের তুলনায় সরকারি নির্ধারিত মূল্য কম। ফলে বাধ্য হয়েই তারা খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করছেন। তাদের মতে, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, “বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহী নন। এছাড়া ধানে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে না পারাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সময়মতো চাল সরবরাহ করলে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।”
চলতি আমন মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।