নৌপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে একটি আধুনিক লঞ্চঘাট নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করা। বড় প্রজেক্ট নয়, বরং ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা সম্ভব। ইলিশা লঞ্চঘাটকে আধুনিকায়ন করা হলে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।”
ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি লঞ্চঘাট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এখানকার মানুষের উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান পরিবহন মাধ্যম হলো নদী। নদীপথ সচল রাখতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ কাজ করে যাচ্ছে।”
নদী ভাঙন প্রবণ এলাকা হিসেবে ভোলার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিবছর নদীতে পলি জমে এবং গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোতে ড্রেজিং চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে ভোলার নদীগুলোতেও ড্রেজিং করা হবে। নদীপথের গুরুত্ব যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান এবং তা ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ঘাটে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা যাত্রীদের হয়রানি মেনে নেওয়া হবে না। এমন কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “নদীপথ উন্নত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়, যার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।”
পরিদর্শনকালে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।