মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আড়িয়ল বিলসহ বিভিন্ন চকে (ক্ষেত) শীতকালীন পাখির আগমন বাড়ছে। হাজার হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক উড়ে আসছে। বিভিন্ন জলাশয় ও ধানি জমিতে বিচরণ করছে এসব পাখির দল। দেখে মনে হবে এ যেন পাখিদের মিলন মেলা। বালিহাঁস,পাতারি হাঁস, সাদা বক, মদনটাক, কানি বক, পানকৌড়ি, শামুকখোল, মাছরাঙা, সাদা গাঙচিলসহ নাম না জানা অসংখ্য পরিযায়ী পাখির আগমনে মুখরিত হচ্ছে আড়িয়ল বিল এলাকা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন জমিতে পাখিরা দল বেঁধে খাদ্যের সন্ধান করছে। অল্প পানিতে ছোট ছোট মাছ ও শামুক ধরে খাচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বীরতারা, পাটাভোগ, পশ্চিম নওপাড়া, আটপাড়া, গাদিঘাট এলাকার বিভিন্ন জলাশয় ও ধানের জমিতে অতিথি পাখি বিচরণ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে পরিযায়ী পাখির আগমনও অনেকাংশে বেড়েছে। এর মধ্যে শামুকখোল, সাদা বক, বালি হাঁসের পরিমাণ বেশি। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে। ভোর থেকেই খাদ্যের সন্ধানে পাখিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই অতিথি পাখিরা আহার শেষে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাচ্ছে। আশ্রয় নিচ্ছে এলাকার উঁচু গাছে।
খুব কাছ থেকে এসব পাখির বিচরণ উপভোগ করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বিল এলাকার মোঃ শামীম নামে এক পথচারী বলেন, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শামুকখোল নামক অতিথি পাখির ঝাঁক ধানের জমিতে নেমেছে। দল বেঁধে পাখিরা খাদ্যের সন্ধান করছে।
জানা যায়, পরিযায়ী পাখির দল শীতপ্রধান দেশ থেকে আবাসস্থল অনুপযোগী হওয়া, খাদ্যের অভাব ও প্রচন্ড শীতের কবল থেকে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে। বিশেষ করে আফ্রিকা, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখির দল আসতে শুরু করে। পরিযায়ী পাখি দেশের সম্পদ। ফসলের ক্ষতি করে এমন সব কীটপতঙ্গ আহার করে এরা জীবন বাঁচায়। এদের বিষ্ঠায় জমিতে মাটির উর্বরতা বাড়ে। দেশের প্রচলিত আইনেও এসব অতিথি পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ।