চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৩ দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে। প্রতিদিন রাত থেকে কুল কুল করে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কর্মজীবন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
তিনি আরো জানান,গত ১১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ, ১২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, ১৩ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, ১৪ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, ১৫ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, ১৬ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ, ১৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, ১৮ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, ১৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এ জেলায় তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজারের পত্রিকা বিক্রেতা শফিকুল জানান, প্রচণ্ড শীতে কাজ করাই দুষ্কর হচ্ছে। সকাল থেকে খুবই শীত অনুভূত হচ্ছে।
প্রাতঃ ভ্রমণকারী সাবেক কাউন্সিলর মাস্তার বলেন, শীতে খুব খারাপ দিন যাচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা নিদারুণ।