মুন্সীগঞ্জে সূর্যমুখী আবাদে কৃষকদের আগ্রহ কমেছে
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১১ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে সূর্যমুখীর চাষে উপযোগী পরিবেশ থাকলেও কৃষকদের আগ্রহ তুলনামূলক কম। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, তেলজাতীয় এ ফসল চাষে কম সময় ও অর্থ ব্যয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব। তবুও সূর্যমুখীর আবাদ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমিতে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সমান। অন্যদিকে, আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর আলু চাষ হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে, যা এ বছর বেড়ে ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ২০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে ১ কেজি সূর্যমুখীর বীজ ও ২০ কেজি সার বিতরণ করা হয়। হাইব্রিড "হাইসোন-৩৬" জাতের সূর্যমুখী চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, যেখানে উৎপাদিত বীজ ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।
কৃষকরা জানান, সূর্যমুখীর চাষে ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য দেখতে অনেকে আসছেন এবং ছবি তুলছেন। এ অভিজ্ঞতা তাদের আনন্দিত করছে এবং অন্যদেরও চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। জেলার সদরসহ শ্রীনগরের বীরতারা, আটপাড়া, শ্যামসিদ্ধ, চর সৈয়দপুর, ও বাংলাবাজারে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, "সূর্যমুখী চাষ সহজ এবং রোগবালাই কম। এর খৈল গবাদিপশুর খাদ্য ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আমরা সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।"