কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-০৫-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার নম্বর সিআর মো. ৩৭/২০২৫। অভিযুক্তরা হলেন কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম, এসআই মো. কামাল হোসেন, এসআই মস্তোফা মিয়া, এএসআই মো. নাহিদ হাসান এবং কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৬ জানুয়ারি রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ওসি তারিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই কামালসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশা চালক ইয়াসিন মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি এবং বুটজুতা পরা পা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর ইয়াসিন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, পুলিশের বেধড়ক মারধরের কারণেই ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। অভিযানের পর অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বলেন, "আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।" মামলাটি আদালতে উপস্থাপন করার পর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তাহের হারুন বলেন, "নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার কটিয়াদী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচজনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত সোমবার ঘটনাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেছেন ।"
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, " সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কটিয়াদী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশের নামে আদালতে মামলা হয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না।