নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি করার স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে। টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ চলমান প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ও পৌরসভায় এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫নং বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ ও ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়স ও পেশাশ্রেণীর সুবিধাভোগী নারী-পুরুষরা তার নিজ নামে বরাদ্দকৃত টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পেতে ভিড় জমিয়ে রেখেছেন।
বানেশ্বরদী ইউনিয়নের উদ্যোক্তা চৈতী নাহার জানান, আমরা কার্ড হাতে পাওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের কার্ড বুঝে নিতে মোবাইলে জানিয়েছি। তবে যে মোবাইল নম্বর দিয়ে সুবিধাভোগীরা আবেদন করেছিলেন তাদেরকে ওই মোবাইল সাথে আনতে বলা হয়েছে। কারণ কার্ডটি সঠিক লোকের হাতে যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা মোতাবেক নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সুবিধাভোগীর ছবি আপলোড করতে ও কার্ডটি অ্যাক্টিভ করতে তার মোবাইলে একটি ওটিপি পাঠানো হয়।
পাঠাকাটা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা জানান, সুবিধাভোগীর হাতে একটি কার্ড তুলে দেওয়ার আগে বেশ কিছু জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়। ফলশ্রুতিতে প্রতিটি সুবিধাভোগীর হাতে একটি কার্ড তুলে দেওয়ায় একটু সময় লাগে। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে আসা নারী-পুরুষরা না বুঝে প্রথমদিকে ভিড় করতেন এবং হট্টগোল শুরু করে দিতেন। শুরুর দিকে তারা না বুঝলেও পরে কাজ সম্পন্নের ধাপ ও আমাদের কাজের গতি দেখে এখন সবাই সন্তুষ্ট। তারা এখন সুশৃঙ্খল ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পর্যায়ক্রমে সকল কাজ শেষ করেই নিজ নিজ কার্ড বুঝে নিচ্ছেন।
বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, আগে টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে ডিলারদের বিভিন্ন কারণে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। এখন প্রতি সুবিধাভোগী পরিবার প্রধানের নামে আলাদা স্মার্ট কার্ড হওয়ায় টিসিবি পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের সকল সমস্যা কেটে গেলো।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪ হাজার ৩১৯টি সুবিধাভোগী পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে, গণপদ্দী ইউনিয়নের ১,২৭০টি, নকলা ইউনিয়নের ১,১২৯টি, উরফা ইউনিয়নের ১,৩০০টি, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ৮৭০টি, বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ১,০৭০টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ১,১৭০টি, টালকী ইউনিয়নের ১,০৭০টি, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ১,২৭০টি ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ১,৩৭০টি পরিবারকে এবং নকলা পৌরসভার ৩ হাজার ৮০০টি পরিবার এই সুবিধা পাবেন। এখন প্রথম ধাপের কার্ড বিতরণ কাজ চলছে। কার্ড প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুবিধাভোগী সবার হাতে পর্যায়ক্রমে টিসিবির পণ্যের স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে।