চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এ বছর সরিষার আবাদ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দ্বিগুণেরও বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছরের ৪৫০ হেক্টর জমির তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ বেড়ে ৯০০ হেক্টরে পৌঁছেছে। তাই এবছর রেকর্ড পরিমাণ বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে উপজেলার সরিষা চাষীরা।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য এবং সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরিষা চাষ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে মির্জাপুর ইউনিয়নে (২৩৫ হেক্টর), এরপর ফরহাদাবাদ (১৭৮ হেক্টর) এবং ধলই ইউনিয়নে (১৪৪ হেক্টর), গুমানমর্দন ৩৭, নাঙ্গলমোড়া ২৪,ছিপাতলী ৩৫,পৌরসভা ৮১ মেখল ২৬,গড়দুয়ার ২২, ফতেপুর ৬২, চিকনদন্ডী২০,দক্ষিণ মার্দাশা ১৭ শিকারপুর ১২ বুড়িশ্চর ৫, ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী সিটি ওয়ার্ডে ২৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
উপজেলায় এসব ইউনিয়নে বিগত বছর সরিষার ভাল ফলন হওয়ায় এবারও কম খরচে বেশী ফলন এর আশায় চাষীরা আমন ধান গোলায় তুলে এমনকি পতিত জমিতে হেমন্তের শেষের দিকে সরিষার বীজ বুনন করেছিলেন। জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিছুদিন পর এই শস্য ঘরে তুলতে পারবেন। তাদের এই আশার সরিষার গাছ এর সবুজের ডগায় ডগায় হলুদ রঙ এর ফুল ফুটেছে।গাছে গাছে মনমাতানো সরিষা ফুল মৃদু হাওয়ায় দুলছে। গাঢ় হলুদ বর্ণের এই ফুলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছি আর ছোট পাখির গুঞ্জনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে সরিষা চাষী মো: মফিজ ও শফিসহ বেশ কয়েকজন চাষী বলেন, গত বছর সরিষার ভাল ফলন হয়েছে। তাই এবারও সরিষার চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনায় ভাল বীজ ও সার পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে আমাদেরকে হাতে কলমে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেভাবে জমিতে সরিষে ফল ফুটেছে আমরা আশাবাদী বাম্পার ফলন হবে। কেননা গত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার বলেন, সরিষা একটি লাভজনক ফসল। গত বছর এই উপজেলায় ৪৫০হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করে জেলা পর্যায়ে ৩য় হয়েছি,এই বছর ৯০০ হেক্টরে জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে এত সরিষার আবাদ হয়নি এই উপজেলায়। কিছু দিন এর মধ্যে কৃষকেরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে সরকারি ভাবে কৃষকদের সার ও বীজ প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এবং সার্বক্ষণিক মাঠে ময়দানে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঠ কমকর্তারা ।