নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক তরুণীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারীর বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের আইজিপির কাছে অভিযোগের পর শেষ পর্যন্ত মামলা রুজু করা হয়।
অভিযোগে ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মো. হাসান তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি তাকে অজ্ঞান করে প্রাইভেটকারে সাভারের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
পরে জ্ঞান ফিরলে কৌশলে পালিয়ে এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে ভাইকে ফোন করেন ভুক্তভোগী। তার ভাই তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও নিয়ে আসেন। কিন্তু থানায় মামলা করতে গেলে ওসি এম এ বারী ঘুষের বিনিময়ে মামলার আবেদন নাকচ করেন এবং অভিযুক্ত হাসানকে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠিয়ে দেন।
রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আইজিপি'স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে ভুক্তভোগী তরুণী ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (মামলা নম্বর-৩২/২৬-০১-২০২৫) রুজু করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারী বলেন, "অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।"