পটুয়াখালী শহরের কলাতলা হাউজিং স্টেটের গেটের সামনে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৬ টি দোকান। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে, সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া আব্দুর রহিমের একটি বড় মুদি দোকান, খুদিরামের সেলুন, শাহিনের লেপ-তোষকের দোকান, আলামিনের ভাতের হোটেল এবং ১টি চায়ের দোকান। এছাড়া মোতালেবের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক দেড়টায় আগুন লাগার পর তারা নিজেরা নির্বাপণের চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন লাগার ২০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়ায় ও বিস্ফোরণ না হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পক্ষে খাবার হোটেল মালিক আলামিন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক অর্ধকোটির টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুদি দোকানি আব্দুর রহিম। তার দোকানে ২০ লাখ টাকার মাল ছিল। আগুনের খবর পেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নিজেদের সহায়সম্বল হারিয়ে দিশেহারা ক্ষুদ্র,মাঝারি ব্যবসায়ীরা। দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মো. রাজিব জানান, রাত ১ টা ৫৬ মিনিটে খবর পেয়ে তাদের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে রাত ২টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।" আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ টাকা নিরূপণ করা হয়েছে।