পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ফলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে কক্সবাজারেও বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। যদিও রেল বন্ধের খবর না পেয়ে অনেক রেল যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। আর রেলের যাত্রীদের চাপ গিয়ে পড়েছে যাত্রীবাহি বাস সমুহে। এতে অনেক পরিবহণ বাসের সংখ্যা বাড়িয়েছে। আবার কিছু পরিবহন বাস বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় মঙ্গলবার বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশেনর মাস্টার গোলাম রব্বানী।
তিনি বলেন, নিয়ম মতে মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকা যাওয়া থাকা ছিল। আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি যাওয়ার কথা। পর্যটক এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ৭৭৩টি আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের স্পেশাল ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৬৮৮টি। ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার কোন ট্রেন কক্সবাজার আসেনি আবারেআর যেতেও পারছে না। যারা এই দুটি ট্রেনের অনলাইনে কিংবা কাউন্টারে এসে টিকিট করেছেন তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন।
তিনি জানান, রেল চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি অনেকেই না জেনে যাত্রী যোগাযোগ করছেন। তাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
গ্রীণ লাইন পরিবহনের কক্সবাজার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আজম জুয়েল জানিয়েছেন, রেল চলাচল বন্ধ থাকায় রেলের যাত্রীরা বাস কাউন্টারে আসছেন। এতে বাসের উপর চাপ বেড়েছে স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার স্বাভাবিকভাবে ১০টি বাস কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ এভাবে থাকলে বুধবার থেকে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সৌদিয়া পরিবহনের কক্সবাজার ইনচার্জ নিরূপম পাল জানিয়েছেন, একটু যাত্রীর চাপ রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে বাস সমুহ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় বা চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ৪০টি সিটের মধ্যে অনেক সময় কম যাত্রী নিয়ে যেতে হত। এখন তাও বুকিং হচ্ছে। এখনও বাস বাড়ানোর পরিস্থিতি হয়নি। হলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একইভাবে অন্যান্য পরিবহনেও একই অবস্থা বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলাস্থ শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. রুবেল পারভেজ বলেন, প্রতিদিন কক্সবাজার থেকে ঢাকা ছাড়ে ১৬ থেকে ১৮টি বাস। কিন্তু আজকে যাত্রীর চাপ বাড়ায় অতিরিক্ত ৩টি বাস যোগ করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ২১টি বাস কক্সবাজার থেকে ঢাকা ছাড়বে।
এস আলম পরিবহনের কক্সবাজার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন জানান, স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে টিকেটের চাহিদা একটু বেশি। এখনও বাস বাড়ানোর মতো অবস্থা হয়নি। আরও বাড়লে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, রেল চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে সজাগ রয়েছে। কক্সবাজারে রেলের যাত্রী সর্বোচ্চ ২ হাজার। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন ঢাকায় আসা যাওয়া করে ৪ শত বাস। এতে ২ হাজার যাত্রী এই ৪ শত বাসের মধ্যে নেয়া সম্ভব। তবে যাত্রীর চাহিদা থাকলে প্রয়োজনের বাসের সংখ্যা বাড়ানো জন্য বলা হয়েছে। কোনভাবেই যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয় এব্যাপারে সর্তক করা হয়েছে।