চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা ৪ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে বিপুল পরিমাণ মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ধ্বংস করা হয়। এর উদ্বোধন করেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন।
বিজিবি জানায়, গত ১ আগস্ট ২০২৩ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মালিকবিহীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্ত থেকে এসব মাদকদ্রব্য বিজিবির হাতে আটক হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৯ হাজার ২৭৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৩ হাজার ১৬৩ বোতল মদ, ২০ বোতল বিয়ার, ১৭২.৩১৪ কেজি গাঁজা, ২০৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ হাজার ৪৬১ কেজি হেরোইন, ২.৪৮০ কেজি কোকেন, ১১ হাজার ৬০ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ১ হাজার ৬৯৬ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন বিজিওম বলেন, যে পরিমাণ মাদক ধ্বংস করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ মাদক আমাদের ধরার বাইরে রয়েছে। দেশে মাদক প্রবেশের মাধ্যমে যেমন যুবসমাজ ও জাতি ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে তেমনি দেশের অর্থও পাচার হচ্ছে। বিজিবি কারেন্ট জাল বিছিয়েও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এজন্য মাদক নির্মূলে সবাইকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। মাদকের চাহিদা যখন নেমে যাবে তখন মাদকব্যবসায়ীরা মাদক আনতে নিরুৎসাহিত হবে। তখন মাদক রোধ করা সম্ভব হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান, ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম, ৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, মেহেরপুর জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার, সহকারী প্রসিকিউটর শাইমুন আহমেদ ও মেহেরপুরের পুলিশ পরিদর্শক মারুফ রহমান।