দারিদ্রকে জয় করে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের অদম্য মেধাবী শাপলা এবার নীলফামারী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে অর্থসংকটের কারণে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে শাপলার সংকটের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইউএনও এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ইউএনও সুবীর কুমার দাস বলেন, "স্থানীয় একটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে শাপলা মেডিকেলে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছে না। বিষয়টি জানার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই, যাতে তার ভর্তি নিশ্চিত হয় এবং সে নিরবচ্ছিন্নভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।"
জানা যায়, শাপলার বাবা শফিকুল ইসলাম একজন অটোরিকশাচালক। অভাব-অনটনের মধ্যেই তার মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন তিনি। শাপলা রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ২০২২ সালে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস এবং ২০২৪ সালে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগেও গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেন। মেধার জোরে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও তার পরিবারের জন্য এটি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
শাপলা বলেন, "অর্থসংকটের কারণে আমার মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যার আমার পাশে দাঁড়ানোয় আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমি পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।"
শাপলার বাবা শফিকুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "আমার মেয়ে ডাক্তার হবে, এটা ছিল আমার স্বপ্ন। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যার সহায়তা করায় মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ খুলে গেল।"