সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি ওসমান আলী বাদী হয়ে চৌহালী আমলি আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী ফরিদ আলম আলমগীর জানান, যমুনার ভাঙনে ওসমান আলীর পৈত্রিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেলে তিনি চৌহালী উপজেলার কুরকি পূর্বপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া ২৭ শতক জায়গায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে একটি টিনের ঘরের পাকা দেয়াল নির্মাণকালে গত ১ জানুয়ারি সকালে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা ও তার সহযোগীরা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় ২১ জানুয়ারি জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। বাদী ওসমান আলী দাবি করেন, এ ঘটনার পর থেকে তিনি প্রাণনাশের হুমকির মুখে রয়েছেন এবং নিরাপত্তার অভাবে অন্যত্র বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া, নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদ মোল্লা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ওসমান আলী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। জনগণই এর সঠিক বিচার করবে।"
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, "ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"