গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগতীরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হয়েছেন। সকলের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
ইজতেমার এই ৫৮তম আয়োজন জোবায়েরপন্থীদের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি, যা ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। ইজতেমার তৃতীয় পর্ব ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সেখানে অংশগ্রহণ করবেন সাদপন্থীরা।
পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, এবার ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের চেয়ে অনেক সুদৃঢ় করা হয়েছে। পুলিশ সবার সহযোগিতায় যেকোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় সক্ষম।
ইজতেমা ঘিরে সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে এ বছর বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিশন পুলিশ (ডিএমপি)। সঙ্গে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান, চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধ টিম এবং নৌ টহল থাকবে। রেলওয়ে স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ইজতেমা ময়দান সিসিটিভির আওতায় থাকবে। সঙ্গে থাকবে ড্রোন এবং ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি। এছাড়া ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথসমূহে আর্চওয়ে স্থাপন এবং হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে তাবলীগ জামাতের দু'টি অংশ 'জুবায়ের' ও 'সাদ'পন্থীদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে। মূলতঃ মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক তাবলীগ জামাতের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
এরপর থেকে বাংলাদেশে দুই গ্রুপ আলাদা হয়ে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করেছেন এবং তাতে অংশ নিচ্ছেন। এই তাবলীগ জামাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে, যখন ঢাকায় তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।