পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাকে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তারই সন্তান। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আলআমিন চরনী পত্তাশী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল কাজীর ছেলে। সেনাবাহিনীর চাকরি হারানোর পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া ও মাদকাসক্তির কারণে ২০২৪ সালে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। তার চারিত্রিক সমস্যার কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান।
এরপর থেকেই আলআমিন তার বাবা জয়নাল কাজীকে দোষারোপ করতে থাকেন। রোববার সকালে তিনি চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা নিয়ে ঘুরতে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে অবহিত করলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলআমিন পালিয়ে যান।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর আলআমিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি নিজের মাকে টেনে বের করে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর পেট্রোল ছিটিয়ে বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, এবং ভস্মীভূত হয়ে যায় সবকিছু। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আলআমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ওসি মারুফ হোসেন বলেন, "মাকে গাছে বেঁধে বসতঘর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্ত আলআমিনকে আটক করা হয়েছে। তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন।"