ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে চা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

লালমনিরহাটে চা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

লালমনিরহাটে এখন চা চাষে প্রতিনিয়ত আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলা চা শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রম ও বেশি লাভজনক হওয়ায় এখন চা চাষ করছেন লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের প্রতি চা চারা নাম মাত্র ২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ জন্য লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামে চা উন্নয়ন বোর্ড গড়ে তুলেছে বিশাল চা চারার নার্সারি। সেই নার্সারি থেকে কৃষকদের চা চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া চা উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমানে চা চাষিরা প্রতি কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা ৩৪ টাকা দরে কারখানায় বিক্রি করছেন। জেলায় ৭২.৮২ একর জমিতে চা বাগান গড়ে তুলেছেন ৫২জন কৃষক। আরও ২০ জন কৃষক চা বাগান গড়ে তুলতে চা বোর্ডে চা চাষি হিসেবে নিবন্ধন করেছেন।

লালমনিরহাট জেলায় ৭২ জন কৃষক চা চাষে এগিয়ে এসেছেন। এতে গত ২০১৮ সালে মাত্র ৬৩ টন সবুজ কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হলেও ২০২৫ সালে তা ৫ গুন বাড়িয়ে ৩ শত ১৫ টন কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হবে বলে বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড ধারণা করছেন। এ ছাড়া জেলায় নতুন করে আরও ২ শত একর জমিতে চা বাগান তৈরি প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে চায়ের চারা রোপণ করতে মোট খরচ হয় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। লালমনিরহাট জেলায় ১ বছরের মধ্যেই ওই চা গাছ থেকে চায়ের কাঁচা পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব।

ফলে প্রতি বিঘায় প্রথম বছর ৪ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বছর ১৬ হাজার টাকা, তৃতীয় বছর ৩৪ হাজার টাকা, চতুর্থ বছর ৪৮ হাজার টাকা ও পঞ্চম বছর ৬৮ হাজার টাকার সবুজ কাঁচা চা পাতা বিক্রি করা সম্ভব। এক গাছে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৫ বছর ধরে চা পাতা উৎপাদন সম্ভব।

প্রতি বছর এক সাথে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচের পর পরবর্তী প্রতি বছর আয়ের ২০ শতাংশ পরিচর্যাসহ বিভিন্ন খাতে খরচ হবে। এতে সব মিলিয়ে দেখা যায়, প্রথম বছর থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত গড়ে প্রতি বিঘায় বছরে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার সবুজ কাঁচা চা পাতা বিক্রি সম্ভব।

চা চাষ,কৃষক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত