ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

১৪৪ ধারা অমান্য করে জামায়াত নেতার জমি থেকে ফসল কাটার অভিযোগ

১৪৪ ধারা অমান্য করে জামায়াত নেতার জমি থেকে ফসল কাটার অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া গ্রামে আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে এক জামায়াত নেতার জমি থেকে ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে আইন মেনে চলার নির্দেশ দেয় এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খয়েরবাড়িয়া গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মুক্তার হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আফতাব, মাহাতাব ও রইজ গংদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আরএস দাগ নং ৬৮, ৬৬, ৬৩, ৪৩২, ৬৭ সহ প্রায় ৪০টি দাগের জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং উক্ত জমির ওপর ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।

বাদী মুক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে তার জমির ফসল কেটে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, "আমি দীর্ঘ ১৭ বছর জামায়াতের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে কিছু জামায়াত নেতার যোগসাজশে শালিসি বৈঠকের নামে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আমার জমি দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও সন্ত্রাসী বাহিনী এনে তারা আমার জমি থেকে বাঁশ ও গাছ কেটে নিয়েছে। এখন সরকার পরিবর্তনের পর তারা আবারও আমার জমি দখল করতে চাইছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের পরিবার ১৯৪৫ সাল থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছে। ১৯৯৭ সালে প্রতিপক্ষ একটি ভুয়া দলিলের ফটোকপি এনে মামলা করলেও ২০০৫ সালে আদালতের রায়ে আমরা মালিকানা নিশ্চিত করি এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছি, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিশোধ করা আছে। অথচ প্রতিপক্ষ নতুন করে ভুয়া ওয়ারিশ দেখিয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা করছে।"

অপরদিকে অভিযুক্ত আফতাব, মাহাতাব ও রইজ গং দাবি করেন, "জামায়াতের আমীর শালিস করে আমাদের জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাই আমরা ফসল কেটেছি।"

সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, "ওই জমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, "শালিসে উভয় পক্ষের উকিলসহ ৭ সদস্যের কমিটির মাধ্যমে রায় দেওয়া হয়েছিল। যদি কেউ এই রায়ে সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে আদালতে যেতে পারে।"

জামায়াত নেতা,অভিযোগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত